স্বর্ণাভ বিশ্বাস উদ্বিগ্ন হয়ে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। একটা ইতিহাস সৃষ্টির দিকে এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশ। স্বর্ণাভ নিজের হার্ট বিট একটু বেশি অনুভব করলেন। সেটা হওয়াই তো স্বাভাবিক। তিনি শুধু এই ইতিহাসের সাক্ষী নন, বরং এই ইতিহাস সৃষ্টির মধ্যে এক অমূল্য যোগদান রয়েছে তার। তার মনে পড়ছে আজ থেকে ঠিক বছর খানেক আগেকার কথা। মৃত্যুঞ্জয় ভৌমিকের সাথে লম্বা মিটিং হয়েছিল। একবার না, একাধিকবার। স্বর্ণাভ জানতেন না তার স্বপ্ন পূর্ণতা লাভ করবে কি না। হঠাৎ সেই রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের ভিডিও ম্যাসেজ এলো স্বর্ণাভের কাছে। 'মিস্টার বিশ্বাস! ইউ মে প্রসিড।'
Mission Indiana - 1
মিশন ইন্ডিয়ানা****************পর্ব - 1********Come Back To Earth***********************স্বর্ণাভ বিশ্বাস উদ্বিগ্ন হয়ে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। একটা সৃষ্টির দিকে এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশ। স্বর্ণাভ নিজের হার্ট বিট একটু বেশি অনুভব করলেন। সেটা হওয়াই তো স্বাভাবিক। তিনি শুধু এই ইতিহাসের সাক্ষী নন, বরং এই ইতিহাস সৃষ্টির মধ্যে এক অমূল্য যোগদান রয়েছে তার। তার মনে পড়ছে আজ থেকে ঠিক বছর খানেক আগেকার কথা। মৃত্যুঞ্জয় ভৌমিকের সাথে লম্বা মিটিং হয়েছিল। একবার না, একাধিকবার। স্বর্ণাভ জানতেন না তার স্বপ্ন পূর্ণতা লাভ করবে কি না। হঠাৎ সেই রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের ভিডিও ম্যাসেজ এলো স্বর্ণাভের কাছে।'মিস্টার বিশ্বাস! ইউ মে প্রসিড।'ছোট্ট একটা ম্যাসেজ। এই ছোট্ট ...Read More
Mission Indiana - 2
মিশন ইন্ডিয়ানা**************পর্ব - 2************Truth About The Mission***************************ছোট-ছোট পাথরের টুকরো চারিদিকে। ভালো করে তাকালে বেশ কিছুটা দূরে বড়-বড় পাথরের চাঁই যাচ্ছে। সেই পাথরের চাঁই গুলো কোথাও-কোথাও গিয়ে এতই বড় হয়ে গেছে যে সেগুলোকে পাহাড় না বললে চলে না। পাথরের রং অনেকটা গাঢ় কফির মত। বেশ কিছুটা দূরে নদীর মত কী যেন একটা বয়ে চলেছে। সে দিকে এগোবার সিদ্ধান্ত নিলো নীহারিকা। দ্রুত পায়ে সেদিকে এগোতে যাবে, ঠিক সে সময়ে কে যেন তাকে বললো - 'নীহারিকা! আমাদের বেরোতে হবে। আর রিস্ক নেওয়া যাবে না। এর আগে আমরা বড় কোনো বিপদের সম্মুখীন হই, আমাদের এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত।'নীহারিকা ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনের দিকে ...Read More
Mission Indiana - 3
মিশন ইন্ডিয়ানা**************পর্ব - 3************Flashback************রাত প্রায় আটটা বাজে। আসানসোল- কলকাতা জি টি রোডে বেশ জ্যাম লেগে আছে। বিশেষ করে দুর্গাপুর বর্ধমানের কাছাকাছি। এমন জ্যাম তো নিত্য লাগে, কিন্তু সেটা রাত এগোরটার পর। কিন্তু এগোরটা বাজতে এখনো বেশ দেরি। এখন থেকেই বেশ ভালো জ্যাম লেগে গেছে এই রাস্তায়। অর্ণবের গাড়িটাও ফেঁসে আছে এই জ্যামে। কিছু দিন আগেই অর্ণব টাইটান থেকে ফিরে এসেছে। "মিশন টাইটান"এর কো-পাইলট ছিল সে। বয়স বেশি না, আটাশ-ঊনত্রিশের কাছাকাছি। প্রায় দু বছর ধরে অদিতি নামের নিজের এক কলেজের বান্ধবীর সাথে সম্পর্কে আছে। তারা বিয়ে করতে চায় একে অপরকে। তাদের দুজনের বাড়ির লোকেদেরও কোনো আপত্তি নেই তাতে। অর্ণবের ইসরোতে ...Read More
Mission Indiana - 4
পর্ব - 4********Invitation***********গাড়ির ভগ্নস্তূপটা পড়ে আছে রাস্তায়। জি টি রোডের এক ধার দিয়ে যাওয়া আসা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এক ধার দিয়েই এখন গাড়ির যাওয়া আসা হচ্ছে। সপ্তর্ষিরা যখন পৌঁছলো তখন প্রায় রাত দুটো। গাড়ির এহেন অবস্থা দেখে নীহারিকাকে সামলানো খুবই কঠিন হয়ে উঠছিল। সপ্তর্ষি, অম্লান ও অরিজিৎ মিলেও তাকে সামলাতে পারছিল না। ইন্সপেক্টর তাদের দিকে এগিয়ে এলেন। বললেন - 'আপনাদের মধ্যে সপ্তর্ষি কে?''আমি, আমি সপ্তর্ষি মন্ডল।' সপ্তর্ষি এগিয়ে গিয়ে বললো।ইন্সপেক্টর ভালো করে সপ্তর্ষিকে দেখে বললেন - 'আপনি আ্যসট্রনট না? দু দিন আগেই টি ভি তে দেখলাম মনে হলো।''হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন আপনি। যার একসিডেন্ট হয়েছে সেও আ্যসট্রনট ছিল।''ওহ, সো ...Read More
Mission Indiana - 5
পর্ব - 5********Secret Of Titan****************ত্রিশ বছর আগে....::::::::::::::::::::::::::::::::একটা বড় হল ঘরে বেশ বড় গোল টেবিল ঘিরে বসে আছেন ইসরোর বেশ উচ্চপদস্থ অফিসার। ক্যাপ্টেন দেবব্রত চৌধুরী ছাড়া দেবরাজ বর্মন এবং অনুরাগ বর্মনও সেখানে ছিলেন। ইসরোর চিফ কুণাল গোস্বামী এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার অরিন্দম সাহাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার বিষয় ছিল মিশন ইন্ডিয়ানা। ব্যাঙ্গালুরু থেকে আসা মিস্টার এম কৃষ্ণামূর্তি ইসরোর ইস্ট্রান উইংএর চিফ কুণাল গোস্বামীকে বললেন - 'দিস ইস রেডিক্যুলাস মিস্টার গোস্বামী। আপনি জানেন এটা কত বড় প্রজেক্ট ছিল? আমাদের নর্দান উইংও এপ্লিকেশন দিয়েছিল টাইটানে মিশন করার জন্য। কিন্তু আমরা আপনাদের পারমিশন দিলাম। কারণ আমার আপনার উপর এবং আপনার টিমের উপর বিশ্বাস ছিল।''টাইটানে ...Read More
Mission Indiana - 6
মিশন ইন্ডিয়ানা*************পর্ব - 6*******Welcome Back**************ফ্ল্যাটটা বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন। দরজা দিয়ে ঢুকেই একটা ঘর। ড্রইং রুম বললে ভুল বলা হবে না। চার কোণায় চারটে কম পাওয়ারের লাইট লাগানো আছে। ঘরের বাঁ দিকে একটা খোলা দরজা। কথা গুলো সেখান থেকেই শোনা যাচ্ছে। দরজার দিকে এগিয়ে গেল নীহারিকা এবং সপ্তর্ষি। দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো একটা ঘরে দেবরাজ বর্মন এবং সেই অজানা লোকটা তর্ক-বিতর্ক করতে ব্যস্ত। দেবরাজ বর্মন নীহারিকা ও সপ্তর্ষির দিকে পিঠ করে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু সেই অজানা লোকটার মুখ ছিল তাদের দিকেই। চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার কারণেই হয়তো সেই অজানা লোকটা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা নীহারিকা ও সপ্তর্ষিকে দেখতে পাচ্ছিল না। সপ্তর্ষি একবার ...Read More