অভিশপ্ত রাজ্য

(0)
  • 1.6k
  • 0
  • 525

নোক্তারিয়া—একটি রাজ্য যেখানে সূর্য উঠেনি গত দশ বছর। দিনের পর দিন এখানে শুধুই অন্ধকার, রক্তরঙা কুয়াশা, আর হিমেল বাতাসে ভেসে বেড়ানো কান্নার শব্দ। মানুষের মুখে মুখে একটি কথাই ঘোরে—এই রাজ্য অভিশপ্ত। এই রাজ্যের এক প্রান্তে ছিল "মিরাল" নামের ছোট একটি গ্রাম। জনবসতি কম, খাবার কম, কিন্তু ভয় অনেক বেশি। কারণ এখানে জন্ম নিয়েছিল এলিয়া—একটি মেয়ে যার চোখে লালচে এক অদ্ভুত আলো ঝলসে ওঠে মাঝে মাঝে, যেন আগুন জ্বলছে দৃষ্টিতে। গ্রামের বয়স্করা বলত, “এই মেয়ে ভ্রাতের চিহ্ন বহন করে। ওর চোখে মৃত্যুর পূর্বাভাস আছে।” তবুও এলিয়া শান্ত, নীরব, নিজের মতো গাছের নিচে বসে কুয়াশার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার স্বপ্নে প্রায়ই আসে এক অদ্ভুত জায়গা—এক অন্ধকার প্রাসাদ, কালো সিংহাসন, আর এক ছায়ামূর্তি, যে বলে— “তুই আমার উত্তরাধিকারী, এলিয়া। সময় এসে গেছে।”

1

অভিশপ্ত রাজ্য - 1

অধ্যায় ১: রক্তচোখের কন্যানোক্তারিয়া—একটি রাজ্য যেখানে সূর্য উঠেনি গত দশ বছর। দিনের পর দিন এখানে শুধুই অন্ধকার, রক্তরঙা কুয়াশা, হিমেল বাতাসে ভেসে বেড়ানো কান্নার শব্দ। মানুষের মুখে মুখে একটি কথাই ঘোরে—এই রাজ্য অভিশপ্ত।এই রাজ্যের এক প্রান্তে ছিল "মিরাল" নামের ছোট একটি গ্রাম। জনবসতি কম, খাবার কম, কিন্তু ভয় অনেক বেশি। কারণ এখানে জন্ম নিয়েছিল এলিয়া—একটি মেয়ে যার চোখে লালচে এক অদ্ভুত আলো ঝলসে ওঠে মাঝে মাঝে, যেন আগুন জ্বলছে দৃষ্টিতে।গ্রামের বয়স্করা বলত, “এই মেয়ে ভ্রাতের চিহ্ন বহন করে। ওর চোখে মৃত্যুর পূর্বাভাস আছে।”তবুও এলিয়া শান্ত, নীরব, নিজের মতো গাছের নিচে বসে কুয়াশার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার স্বপ্নে প্রায়ই আসে ...Read More

2

অভিশপ্ত রাজ্য - 2

️ অধ্যায় ৩: ছায়াপথে যাত্রানোক্তারিয়ার কুয়াশায় ঢাকা বন, পাথরের মতো চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল শতাব্দী ধরে। সেখানে সূর্যের আলো পড়ে পাখি ডাকে না, এমনকি গাছের পাতাও বাতাসে নড়ে না। এলিয়া আর কায়ান যখন সেই বনের ভিতর দিয়ে হাঁটতে শুরু করল, তখন মনে হচ্ছিল তারা সময়ের বাইরে পা ফেলেছে।“এখানে... কিছু একটা আমাদের দেখছে,” এলিয়া কাঁপা গলায় বলে।কায়ান থেমে বলে, “এটা ‘নির্বাক বন’। এই বনের প্রতিটি গাছ একেকটি আত্মা। যারা কোনোদিন মুক্তি পায়নি, তারা গাছ হয়ে গেছে।”“তুমি এত কিছু জানো কীভাবে?”কায়ান এক গম্ভীর হাসি দেয়। “আমি তো রাজপরিবারের সন্তান। কিন্তু আমার শৈশব কেটেছে এই অন্ধকারে। আমার প্রথম বন্ধু ছিল এই বনের এক ...Read More

3

অভিশপ্ত রাজ্য - 3

অধ্যায় ৫: ছায়ার দেবতাতারা পৌঁছায় এক পরিত্যক্ত দুর্গে—রাজ্যপথের শেষ প্রান্তে, যেখানে মানুষ বহু বছর ধরে পা রাখেনি। কায়ান জানত জায়গার নাম—“ভ্রাতমন্ডল”। এক সময় এটি ছিল উপাসনার কেন্দ্র, যেখানে রাজবংশ গোপনে সেই অশুভ দেবতাকে পূজা করত।প্রাসাদের দেয়ালজুড়ে এখনো ছাপ রয়ে গেছে সেই পুরনো আঁকা ছবির—অর্ধেক মানব, অর্ধেক ছায়া এক দেবতা, যার হাতে চাবি, চোখে শূন্যতা।এলিয়া ধীরে ধীরে প্রাচীন ফটক ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে।হঠাৎ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। চারদিকে ছায়া নড়তে শুরু করে। মাটির নিচ থেকে যেন উঠে আসে ফিসফিসে কণ্ঠস্বর—“তুমি এসেছো… রক্তচোখের কন্যা… আমার উত্তরাধিকার...”এলিয়ার চোখ লাল হয়ে ওঠে, আবারও।কায়ান তার পাশে দাঁড়িয়ে, তরবারি বের করে। যদিও সে জানে, এই ...Read More