হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নর্মাল থাকলে কি কারো শরীরে বাইরে থেকে রক্ত দেওয়া হয় ? না, দেওয়া হয় না। তাহলে কারোর শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও তাকে বাইরে থেকে ইনসুলিন নিতে বলা হয় কেন ? এই ধরনের ভুল চিকিৎসার কারণে সুগারের রোগীরা কখনোই সুস্থ হতে পারে না।
টাইপ টু ডায়াবেটিস সুগার বাড়ার রোগ না, এটা হচ্ছে ইনসুলিন বাড়ার রোগ। বেশি বেশি ইনসুলিন নিঃসরণের কারণেই শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়েছে। তাই শরীরের কোষগুলো আর ইনসুলিনকে পাত্তা দেয় না। এই অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা হবার কথা ছিল, ইনসুলিন কমিয়ে এনে রেজিস্ট্যান্স ভেঙে দেওয়া। তা না করে উল্টে আরও বেশি করে ইনসুলিন ঢোকানো হয়। এজন্যই সুগার ঠিক হয় না।
"মিষ্টি নামের তিক্ত রোগ" বইটিতে এই ধরনের সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। এই বইটিতে যে সকল বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো ফলো করে চললেই একজন মানুষ সুগারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
এই বই ওষুধ খাওনোর পথ দেখায় না, বরং নিজের শরীরকে আবার সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি কোনো জাদু নয়, এটা শরীরের স্বাভাবিক বুদ্ধিকে জাগিয়ে তোলার প্রক্রিয়া।