গভীর নির্জন দুপুর।
হিমালয়ের পাদদেশে বসে আছে এক তরুণ – সুজন। তার চোখে কোনও কামনা নেই, কেবল প্রার্থনা আর নিষ্কাম ভালোবাসা।
সামনে এক প্রাচীন শিবলিঙ্গ।
পাশে দাঁড়িয়ে আছে নন্দী— নীরব, সজাগ।
সুজন চোখ বুজে বলে—
“হে মহাদেব,
আজ আমি কিছু চাই না।
শুধু তোমার চরণে বসে থাকতে চাই।
যতক্ষণ না আমার মন স্থির হয়, ততক্ষণ আমি উঠব না।”
শান্ত বাতাসে এক অদৃশ্য প্রশ্রয় মেলে।
শিব যেন নীরবে আশীর্বাদ করেন।
নন্দী মাথা নিচু করে ফিসফিস করে—
“তুমি ভক্ত, আমি সেবক।
আমরা দু’জনেই তাঁর ছায়ায়,
তাঁর চরণেই চির আশ্রিত।”
আকাশে বৃষ্টির ঘনঘটা।
ভক্তি আর নিবেদন মিলে গড়ে ওঠে এক অদৃশ্য সম্পর্ক,
যেখানে সুজন আর শিব—
একটা আত্মিক বন্ধনে বাঁধা।