মানুষের পেটের মধ্যে লিভারের নিচের দিকে রয়েছে অগ্ন্যাশয় গ্রন্থী। খাবার হজম করতে এনজাইম তৈরি করা ছাড়াও শরীরের মধ্যে গ্লুকোজ বা সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে এই অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিই হচ্ছে প্রধান হিরো। এর বিটা সেল থেকে নির্গত হয় ইনসুলিন - যা শরীরের সুগারকে কোষের মধ্যে পৌঁছে দিয়ে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে। কিন্তু এই ইনসুলিন যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে যায় তখনই দেখা দেয় ডায়াবেটিস মেলাইটাস, যাকে আমরা 'সুগার বেড়ে যাওয়া রোগ' হিসেবে মনে করি। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে এটি পুরোপুরিই ইনসুলিন বেড়ে যাওয়া রোগ।
এই বিষয়টি বুঝতে পারলেই ৫০% সুগার ঠিক হয়ে যায়। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই "মিষ্টি নামের তিক্ত রোগ" বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।
টাইপ–২ ডায়াবেটিস আসলে “সুগার বাড়ার রোগ” নয়, এটি “ইনসুলিন বাড়ার রোগ”। যেই মুহূর্তে শরীরের কোষ ইনসুলিনের সংকেত শোনা বন্ধ করে দেয়, শরীর তখন আরও বেশি করে ইনসুলিন ছাড়তে থাকে; এটাকেই বলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। সুতরাং ডায়াবেটিস ঠিক করতে হলে বাইরে থেকে ইনসুলিন ঢোকানো নয়, বরং এই রেজিস্ট্যান্স ভেঙে শরীরকে আবার ইনসুলিনের কথা শুনতে শেখাতে হবে।