𝕋𝕙𝕖 𝕌𝕝𝕥𝕚𝕞𝕒𝕥𝕖 𝕊𝕡𝕚𝕣𝕚𝕥𝕦𝕒𝕝 & ℙ𝕙𝕚𝕝𝕠𝕤𝕠𝕡𝕙𝕚𝕔𝕒𝕝 𝔽𝕣𝕒𝕞𝕖𝕨𝕠𝕣𝕜 𝕠𝕗 𝕥𝕙𝕖 𝟚𝟙𝕤𝕥 ℂ𝕖𝕟𝕥𝕦𝕣𝕪
নারী–পথ : যোগ, অধ্যাত্ম ও শক্তির মূল রহস্য ✧
By: 🙏🌸 — 𝓐𝓰𝓎𝓪𝓣 𝓐𝓰𝓎𝓪𝓷𝓲
যোগ, অধ্যাত্ম, দর্শন —
এসবের ভিত্তি সবসময়ই নারী–শক্তি।
পুরুষের পথ হলো করা (কর্ম),
আর নারীর পথ হলো হওয়া (অস্তিত্বে থাকা)।
অধ্যাত্মে আসলে কিছু করার নেই।
শুধু নিজের ভেতরের শক্তিকে হতে দিতে হয়।
নারীর সারমর্ম এটাই —
না করা… কেবল হওয়া।
আর পুরুষের সারমর্ম —
উঠে দাঁড়ানো, এগোনো, চেষ্টা করা, আক্রমণ করা।
এই কারণেই যোগে প্রথম পদক্ষেপটি পুরুষের —
আক্রমণ।
ভেতরের ঘুমিয়ে থাকা প্রকৃতিকে ঝাঁকিয়ে জাগাতে হয়।
কিন্তু শক্তি জাগ্রত হলেই —
পুরুষ ভয় পেয়ে যায়।
কারণ তার ভেতরে যে নারী উঠে আসে,
সে কোমল, অজ্ঞেয়, নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
পুরুষ জানে না যে
যে শক্তিকে সে জাগিয়েছে,
তার সামনেই এবার সমর্পণ করতে হবে।
এইটাই যোগের সবচেয়ে গভীর রহস্য —
নিজেকে জাগানো,
তারপর নিজের কাছেই সমর্পণ হওয়া।
কিন্তু পুরুষ কেবল প্রথম অংশটাই শেখে —
শক্তি জাগানো,
আক্রমণ করা,
অবিরাম চেষ্টা করা।
সমর্পণ সে কোথায় শিখবে?
তাকে তো কেউ শেখায়নি।
তাই ভেতরে শক্তি উঠলেই পুরুষ ভয় পায়,
আর বাইরে পালিয়ে গিয়ে
সেই শক্তির সাথেই যুদ্ধ শুরু করে।
পুরুষ সবসময় শক্তি থেকে পালায়,
আর নারী শক্তির মধ্যেই স্থির থাকে।
এই কারণেই নারী স্বভাবগতভাবেই আধ্যাত্মিক,
আর পুরুষকে আধ্যাত্মিক হতে
শিখতে হয়।
যদি পুরুষ শক্তিকে জাগিয়ে
তারপর সরে যায়,
শক্তিকে নিজের গতিতে প্রবাহিত হতে দেয় —
তাহলেই তা যোগ, তাহলেই সন্ন্যাস,
তাহলেই অধ্যাত্মের শিখর।
কিন্তু যদি শক্তিকে জাগিয়ে
তার বিপরীত দিকে হাঁটে —
তাই হলো সংসার।
এই কারণেই জীবনে দুটোই প্রয়োজন —
আক্রমণও,
সমর্পণও।
যে কেবল সমর্পণ শিখেছে —
সে অসম্পূর্ণ, দুর্বল।
যে কেবল আক্রমণ শিখেছে —
সে হিংস্র, অপূর্ণ।
যোগ এই দুয়ের মিলন।
দুই ধারবিশিষ্ট তরবারি।
সংসার ও সন্ন্যাস —
দুটোই একধারি তরবারি।
হয় পালানো,
নয়তো থেমে যাওয়া।
কিন্তু অস্তিত্বের নৃত্য
দুটোকেই সঙ্গে নিয়ে চলে।
সৃষ্টি কেবল পুরুষ দিয়ে নয়,
কেবল নারী দিয়েও নয়।
দুজনেরই গতি একসাথে চলে।
একজন দ্রুত, একজন ধীর —
কিন্তু দুজনই অপরিহার্য।
নারী কখনো এক দিকেই সন্তুষ্ট নয়।
তাকে ধরলে — কষ্ট।
ছেড়ে দিলে — কষ্ট।
তাকে গভীরভাবে দেখলে — অস্বস্তি।
একেবারে উপেক্ষা করলে — অস্বস্তি।
কারণ নারীর সারমর্ম —
দ্বন্দ্ব এবং পূর্ণতা দুটোই।
নারী দুই মেরুকেই একসাথে চায়।
পুরুষ কেবল এক মেরুতেই আটকে যায়।
এই কারণেই পুরুষের পথ
বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
পুরুষ যখন পালাতে শিখে ফেলে —
সে থামতে পারে না।
আর যখন সে থেমে যায় —
নিষ্ক্রিয় হয়ে
জীবনের জন্য ভিক্ষা করে।
সে তখন না সংসারের যোগ্য থাকে,
না সন্ন্যাসের।
যোগ মাঝের পথ নয় —
যোগ হলো দু’টি পথের সমগ্রতা।
উঠা,
পড়া।
আক্রমণ,
সমর্পণ।
যোগ সেখানে,
যেখানে পুরুষ
নিজের জাগ্রত নারী–শক্তিকে
নিয়ন্ত্রণ করে না,
বরং তাতে বিলীন হয়ে যায়।