জীবনে প্রথম যেদিন জানতে পারলাম আমার ডায়াবেটিস হয়েছে, সেদিন যেন আকাশটাই মাথার ওপর ভেঙে পড়ল।
ডাক্তারের কথা আজও কানে বাজে - “এটা কখনো ভালো হয় না। সারাজীবন ওষুধ খেতে হবে।”
শুরু হলো দুঃস্বপ্নের জীবন।
ওষুধের প্রভাবে মাঝেমধ্যেই হঠাৎ সুগার নেমে যেত; শরীর কাঁপতে শুরু করত, চোখে অন্ধকার নামত, মনে হতো এখনই বুঝি সব শেষ....!
শরীরে শক্তি কিছুই নেই, কিন্তু ওজন বেড়েই চলেছে। হার্ট, লিভার, কিডনি, সবকিছুই যেন আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল।
নিজেকে প্রশ্ন করতাম - এটাই কি জীবন, নাকি অভিশাপ ?
এরপর একদিন আমার জীবনে প্রবেশ করলেন স্বামী আত্মজ্ঞানানন্দ মহারাজ। তিনি আমাকে থামিয়ে দিলেন। তিনি বললেন -
“এটা রোগ না। এটা তোমার শরীরকে ভুল পথে চালানোর ফল। পথ ঠিক করো; শরীর নিজেই ঠিক হয়ে যাবে।”
আমি তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করে জীবনকে নতুনভাবে শুরু করলাম। মাত্র ১৬ দিনে আমার সুগারের ওষুধ বন্ধ হয়ে গেল। এক মাসে ১৬ কেজি ওজন কমে গেল। তিন মাসে ২২ কেজি ওজন কমার পর, ৩০ বছর ধরে খেতে থাকা হাই প্রেশারের ওষুধটাও বন্ধ হয়ে গেল।
তারপর যেন একটি নতুন জীবন ফিরে পেলাম।
পরপর তিনবার HbA1c নরমাল; এখন মিষ্টি খেলেও সুগার বাড়ে না। একদিন বুঝতে পারলাম -
ডায়াবেটিস আমার শরীর থেকে বিদায় নিয়েছে।
এই সবকিছুই আমাকে শিখিয়েছে একটাই কথা -
ডায়াবেটিস কোনো আজীবনের রোগ নয়। এটা বিপাকীয় অসামঞ্জস্য। যখন ইনসুলিন বেড়ে যায়, কোষ তাকে আর মানে না; তখনই সুগার বাড়ে।
এই চক্র ভাঙলে শরীর নিজেই ঠিক হয়ে যায়।
স্বামী আত্মজ্ঞানানন্দ মহারাজের দেখানো পথের অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায় “মিষ্টি নামের তিক্ত রোগ”। আমি এই বইটিতে শুধু সুগার ঠিক করার উপায় বলিনি,
বলেছি - কিভাবে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ বুদ্ধিমত্তাকে আবার সক্রিয় করবেন।
কিভাবে লিভার, কিডনি, হার্ট, সবকিছুকে আবার নিজের পক্ষে কাজ করাবেন।
শুধু ডায়াবেটিস নয়, যে কোনো মেটাবলিক রোগ থেকে মুক্ত থাকার লাইফস্টাইল এখানে রয়েছে।
এই বইকে নিছক “বই” ভাববেন না।
এটি একটি জীবনদর্শন, একটি যাত্রা,
একজন সাইলেন্ট কোচ হিসেবে ব্যবহার করুন।
যদি কোনোদিন কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে -
“আপনি কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত হলেন ?”
আমি শুধু বলবো, এটা কোনো জাদু নয়। এটা নিজের শরীরকে আবার নিজের ঘরে ফিরিয়ে আনার একটি প্রাকৃতিক পথ।
https://amzn.in/d/fje48S6